bayyinaat

Published time: 03 ,December ,2018      21:37:03
গাদীরের হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবাগণ
গাদীরের হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবাগণ সারাংশ: মহানবী (সা.) গাদীরে খুম নামক স্থানে যেখান থেকে মাদীনা, ইরাক ও মিশরের রাস্তা পরস্পর পৃথক হয়। সেখানে অসংখ্য মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষাধিক মানুষের উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তাকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ও উম্মতের জন্য পথপ্রদর্শক হিসাবে আলীকে ঘোষণার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়িত করেছিলেন। অসংখ্য সাহাবা এ হাদীসের সাক্ষী ছিলেন।
সংবাদ: 156

গাদীরের হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবাগণ

গাদীরের হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবাগণ 

সারাংশ: মহানবী (সা.) গাদীরে খুম নামক স্থানে যেখান থেকে মাদীনা, ইরাক ও মিশরের রাস্তা পরস্পর পৃথক হয়। সেখানে অসংখ্য মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষাধিক মানুষের উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তাকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ও উম্মতের জন্য পথপ্রদর্শক হিসাবে আলীকে ঘোষণার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়িত করেছিলেন। অসংখ্য সাহাবা এ হাদীসের সাক্ষী ছিলেন।

ট্যাগ: গাদীরের হাদীস, মহানবী (সা.), আলীর (আ.) বেলায়েত, রাবী ও বর্ণনাকারী, সাহাবাগণ,

প্রবন্ধ: মহানবী (সা.)এর সাহাবাদের মধ্যে গাদীরের হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবার সংখ্যা একশ জনেরও বেশী। তাদের প্রথম ব্যক্তি হলেন জানদাব ইবনে জানাদা আবুজর গিফারী যার ব্যাপারে মহানবী (সা.) স্বয়ং বলেছেন: আবুজরের চেয়ে সত্যবাদী কোন ব্যক্তির ওপর সবুজাভ আকাশ ছায়া ফেলেনি এবং পৃথিবীও ধারণ করেনি। এ হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবাদের মধ্যে রয়েছেন: হুজাইফা ইয়ামানী (মৃত্যু ২৯ হি.), বাররা ইবনে আযেব, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী, আবু আইয়ুব খালিদ ইবনে যাইদ আনসারী (৫০ হিজরিতে রোমানদের সাথে যুদ্ধে শহীদ হন), সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, সালমান ফারসি (মৃত্যু ৩৬ হি.), তালহা ইবনে উবাইদ তাইমী, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (ইবনে উকদা তার হাদীসূল বেলায়াহ গ্রন্থে তার থেকে বর্ণনা করেছেন), আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (মৃত্যু ৬৮ হি.), আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাসূলের (সা.) চাচা), উসমান ইবনে আফ্ফান, আবুল ইয়াকযান আম্মার ইবনে ইয়াসির উনসী (৩৭ হিজরিতে সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন), রাসূল (সা.) এর কন্যা ফাতিমা সিদ্দিকা সহ একশ জনের অধিক সাহাবা এর অন্তর্ভুক্ত। তাবেয়ীদের মধ্যে ৮০ জন এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এ হাদীসটি সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। অনেক আলেম ও মনীষীই এ হাদীসটি তাদের গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।১ কেউ কেউ এ বিষয়ে স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। যখন আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) বিভিন্ন সময় সাহাবাদের সামনে গাদীরের হাদীস উপস্থাপন করে নিজের অধিকারের স্বীকৃতি নিয়েছেন যেমন: খলিফা উমরের মৃত্যুর পর খলিফা নির্বাচনের দিন, উসমানের খেলাফতের সময় এবং নিজ খেলাফতকালে রাহবার ঘটনায়। সেদিনের ঘটনায় অনেকেই (ত্রিশ জন সাহাবী) তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্যদানকারী সাহাবাদের মধ্যে আবু হাইসাম ইবনে তাইহান, আবু হুরাইরা হুসী, আবু সাঈদ খুদরী প্রমুখ ছিলেন। আমিরুল মুমিনীন এ হাদীসটি সর্বসাধারণের সামনে পাঠ করলে তারা তা সমর্থন করেন যা এ হদীসটির মুতাওয়াতির (অকাট্য ও সন্দেহাতীত) হওয়াকে প্রমাণ করে। উদাহরণ স্বরূপ জামালের যুদ্ধের দিন এবং রুকবানের (কুফায় প্রবেশের) দিনও তিনি গাদীরের হাদীসের উল্লেখ করেন। যখন সাহাবাদের একদল তাঁর কথাকে সমর্থন করেন তাদের মধ্যে আম্মার ইয়াসির, আবুল হাইসাম ইবনে তাইহান, খুজাইমা ইবনে সাবিত (জুশাহ দাতাইন বা দুই সাক্ষীর স্থলাভিষিক্ত) ও কাইস ইবনে সাজ ইবনে উবাদা অন্যতম যারা সকলেই বদরী সাহাবী ছিলেন।

গাদীরের হাদীসটি এতটা প্রসিদ্ধ হলেও এর সাক্ষী একদল লোক অন্ধ গোঁড়ামি ও গোত্রবাদী প্রতিক্রিয়াশীলতার বশবর্তী হয়ে তাকে গোপন করেছে। আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.)ও একারণে তাদের অভিশাপ দিয়ে বলেছিলেন: ‘হে আল্লাহ, যে ব্যক্তিই জ্ঞাতসারে এ সাক্ষ্যকে গোপন করেছে তাকে এমন রোগে আক্রান্ত কর যা তাদের পরিচয়বাহী হয়’ এ বদ দোয়ায় আনাস ইবনে মালিক ধবল রোগে আক্রান্ত হয়, বাররা ইবনে আযেব অন্ধ হয়ে যায় এবং জারির মুর্তাদ (ধর্মত্যাগী) হয়ে হাদীসটিকে গোপন করেছিল এবং সাক্ষ্যদান থেকে বিরত ছিল। যাইদ ইবনে আরকাম ও ইয়াযিদ ইবনে ওয়াদিয়াও সাক্ষ্য গোপনকারীদের মধ্যে ছিলেন।২

গাদীর দিবসে মহানবী (সা.)এর ভাষণ

ইবনে জারির তাবারী (মৃত্যু ২১০) তার ‘আলবিলায়াহ’ গ্রন্থে যাইদ ইবনে আরকাম থেকে বর্ণনা করেছেন: যখন মহানবী (সা.) জান্নাতুল বিদা (হুজ্জাতুল বালাগ)[1]৩ থেকে ফিরার পথে গাদীরে খুমে (খুম নামক স্থানের পুকুর যেখানে বৃষ্টির পানি সঞ্চিত ছিল) পৌঁছলেনতখন দ্বিপ্রহরে নিকট বর্তী হয়েছিল। কিন্তু গ্রীষ্মকাল হওয়ায় তাপমাত্রা প্রচণ্ড বেশী ছিল। রাসূল (সা.) যাত্রা বিরতির নির্দেশ দিলে কিছু শামিয়ানা টাঙ্গানো হল এবং নামাজের সময় হলে আজান দেয়া হল। সবাই সমবেত হলে মহানবী (সা.) দীর্ঘ এক বক্তব্য দিয়ে বললেন: আমার ওপর এখন একটি আয়াত নাজিল হয়েছে। আয়াতটি হল:

يَأَيهَُّا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ  وَ إِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ  وَ اللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاس(مائده:67)

(হে রাসূল) যা কিছু তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর। যদি তা না কর তবে তুমি তাঁর রিসালাতের দায়িত্ব পালন করনি। আর নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে লোকদের থেকে রক্ষা করবেন।

জিব্রাইল আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার প্রতি এ নির্দেশ নিয়ে এসেছে যে, এ স্থানে দাঁড়িয়ে সাদা-কালো সকল মানুষের সামনে ঘোষণা করবে যে, আলী ইবনে আবি তালিব আমার ভাই, আমার স্থলাভিষিক্ত ও আমার (মৃত্যুর) পর সকলের নেতা। আমি জিব্রাইলের নিকট বললাম: আমার প্রভু যেন এ কর্ম থেকে আমাকে নিষ্কৃতি দেন। কারণ আমি জানি এদের মধ্যে পরহেজগারের সংখ্যা কম, আমাকে কষ্ট দানকারীর সংখ্যা অনেক বেশী এবং তাদের অনেকেই আলীর সঙ্গে আমার অধিকা সঙ্গ দান ও তাঁর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়ার কারণে আমার সমালোচনা করেএদের ধৃষ্টতা এত বেশী যে, কখনও কখনও আমাকে অধিক শ্রবণকারী ও কান কথা শোনার অভিযোগে অভিযুক্ত করে।

এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেছেন:

مِنْهُمُ الَّذينَ يُؤْذُونَ النَّبِيَّ وَ يَقُولُونَ هُوَ أُذُنٌ قُلْ أُذُنُ خَيْرٍ لَكُمْ

তাদের মধ্যে এমনও আছে যারা নবীকে মনোকষ্ট দেয় এবং যে তো আগাগোড়াই কান (অধিক শ্রবণকারী)। বল: (তার আগাগোড়াই) কান হওয়া তোমাদের জন্যই কল্যাণকর।৪

যদি চাই আপনার নিকট ঐ ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করতে এবং আপনাকে তাদের দেখিয়ে দিতে পারি। কিন্তু মর্যাদা রক্ষা করার জন্য তা থেকে বিরত থাকছি। (অত:পর যখন জিব্রাইল আল্লাহর নির্দেশে কথা বললেন তখন তিনি লোকদের উদ্দেশ্য বললেন:) আল্লাহ তাকে (আলী) তোমাদের ওপর নেতা (ইমাম) ও অভিভাবক (ওয়ালী) নিযুক্ত করেছেন এবং তার আনুগত্যকে তোমাদের জন্য ওয়াজিব করেছেন। তাঁর নির্দেশ শিরোধার্য ও তাঁর কথা সঠিক। যে কেউ তাঁর কথার অবাধ্য হবে সে অভিশপ্ত আর যে তাকে সত্যায়ন করবে আল্লাহর রহমতের শামিল হবে। তঁর কথা শোন ও তাঁর নির্দেশ পালন কর। কারণ আল্লাহ তোমাদের অভিভাবক আর আলী তোমাদের ইমাম ও নেতা। অত:পর নেতৃত্ব (ইমামত) তাঁর সন্তানদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এ খুতবার একাংশে এরূপ এসেছে: আল্লাহর কিতাবকে অনুধাবন কর। এর মুতাশাবিহ (আয়াত) এর পেছনে যেয় না করণ তার ব্যাখ্যা কেবল ঐ ব্যক্তি জানে যাকে আমি বন্ধু রূপে গ্রহণ করেছি ও তাঁর বাহু উঠিয়ে তোমাদের কাছে পরিচিত করে বলেছি: আমি যার মাওলা (অভিভাবক ও নেতা) আলীও তার মাওলা। আর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়েছে এবং এর নির্দেশ তিনি আমার ওপর অবতীর্ণ করেছেন। যেন রাখ, আমি আমার দায়িত্ব (ও কর্তব্য সমূহ) পালন করেছি। যেন রাখ, আমি তোমাদের কানে তা পৌঁছিয়েছিযেন রাখ, এ বিষয়টি তোমাদের সামনে স্পষ্ট করেছি।

এ খুতবাটি (ভাষণ) উম্মতের বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীরা বর্ণনা করেছেন। যদি কেউ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় সে যেন বিশিষ্ট মনীষী, গবেষক, ফকীহ, ঐতিহাসিক আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত আল্লামা আমিনীর রচিত আল গাদীর (১১ খণ্ডে রচিত) গ্রন্থটি দেখতে পারেন।

এ সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, বুখারী এত প্রসিদ্ধ (মুতাওয়াতির) হাদীস ও তার গ্রন্থে আনার প্রয়োজন বোধ করেনি। যেমন ভাবে সে আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) ও আহলে বাইতের অসংখ্য মর্যাদাকর হাদীস যা মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে তা গোপন ও উপেক্ষা করেছে। অথচ গাদীরে খুমের ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমুহের একটি হিসাবে উল্লিখিত হয়েছে। এ ঘটনাটি এতটা প্রসিদ্ধ ছিল যে তাতে কোনরূপ সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু দুঃখ জনক হল এ বিষয়টি প্রকাশিত ও স্পষ্ট হওয়ার পরও মুসলমানদের একদল শত্রুতা ও গোঁড়ামির বশবর্তী হয়ে এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ও একে অস্বীকার করেছে।

শক্তিশালী দলিল প্রমাণ করে যে, মহানবী (সা.) গাদীরে খুম নামক স্থানে যেখান থেকে মাদীনা, ইরাক ও মিশরের রাস্তা পরস্পর পৃথক হয়। সেখানে অসংখ্য মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে লক্ষাধিক মানুষের উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তাকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ও উম্মতের জন্য পথপ্রদর্শক হিসাবে আলীকে ঘোষণার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়িত করেছিলেন। মহানবী (সা.) জানতেন যে, এ নির্দেশ মেনে নেয়া অধিকাংশ লোকের জন্য কষ্টকর। কারণ আলী (আ.)এর ব্যাপারে মহানবী (সা.) যা-ই বলতেন তারা সেটাকে তার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার- চাচাত ভাই ও জামাতা হওয়ার সম্পর্ক- থেকে উৎসারিত মনে করত। নিঃসন্দেহে সকল যুগেই মানুষরা ঈমানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের হয়ে থাকে। সবার পক্ষে প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা ও দুনিয়ার পদ-মর্যাদা ও ক্ষমতা লাভের অকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব নয়। মহানবী (সা.) এ বিষয়টিই জীব্রাইলের সামনে সমস্যা হিসাবে উত্থাপন করেছিলেনকিন্তু মহান আল্লাহ তারপরও তাঁকে বেলায়েতের ঘোষণা প্রদান করার নির্দেশ দিয়ে বলেন:

يَأَيهّا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ  وَ إِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ (مائده:67 )

হে রাসূল! যা কিছু তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা পৌঁছে দাওযদি তুমি তা না কর তবে তাঁর রিসালাতের (বাণী পৌঁছানোর) দায়িত্বই পালন করনি। সুতরাং এ অবস্থায় মহানবী (সা.)এর জন্য এছাড়া উপায়ই ছিল না যে, বিদায় হজ্জের পর গাদীরে খুমে সবাইকে সমবেত করে বলবেন: আমি কি মুমিনদের ওপর তাদের নিজেদের অপেক্ষা অগ্রাধিকার রাখি না? তারা বলল: ‘আল্লাহ সাক্ষী, অবশ্যই তা সত্য’। তখন তিনি বললেন: ‘আমি যার মাওলা এ আলীও তার মাওলা’। অত:পর তিনি বিভিন্ন অবস্থান ও প্রেক্ষাপটে কখনও সরাসরি আবার কখনও ইঙ্গিতে এ কথাটির পুনরাবৃত্তি করেছেন যাতে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালিত হয় এবং আল্লাহর নিকট তিনি অভিযুক্ত না হন। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে যারা পূর্ব থেকেই সামাজিক প্রতিপত্তির অধিকারী ছিলেন তারা তাদের ধারণায় ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ অন্য কিছুতে নিহিত রয়েছে জ্ঞান করলেনআর  তাই তারা মহান আল্লাহ (যিনি কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামের কল্যাণ সম্পর্কে অবহিত) ও তাঁর রাসূলের কথাকে ভিন্নরূপে ব্যাখ্যা করে বললেন: তাঁর মৃত্যুর পর অবস্থান পরিবর্তন ঘটেছিল, যার ফলে আমাদের ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে।৫

1.    মুসনাদে আহমাদ, ৩২ তম খণ্ড, পৃ. ৫৬, হাদীস নং ১৯২৫৬ এবং ৩৮ তম খণ্ড, পৃ. ৩৬, হাদীস নং ২২৯৪৫, শোয়াইব আর নাউতের গবেশক, সহীহ সুনানে ইবনে মাজা, গবেশণা: আলবানী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৬, তাহাভী, মুশকিলুল আসার, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৮, আশ শারিয়া আজুরী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২০৪৪, হাদীস ১৫১৪, সিলসিলাতু আহাকিসিস সাহিহাত আলবানী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৩০, হাদীস ১৭৫০, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে কাসির, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৬৮০-৬৮১খাসায়িসু আমিরিল মুমিনিন, নাসায়ী, পৃ. ১১৮অনুবাদক

2.       আনসাবুল আশরাফ হয় গত্ত, পৃ, ১৫৬, জীবনী নং ১৬৯।

3.       যেহেতু বিদায় হজ থেকে ফিরে আসার পথে বালাগ  বা প্রচারের নির্দেশ সম্পর্কিত আয়াতটি নাজিল হয় এবং এ বিষয়টি খুবই গুরুত্ববহ ছিল তাই এ হাজকে হাজ্জাতুল বালাগ বলা হয় যেমনটি ইবনে হিশাম তার সীরাত গ্রন্থে বলেছেন।

4.      সুরা তওবা: ৬১

5.      আসলুশ শিয়া ওয়া উসুলুহা, পৃ. ১০৮।

মূল: আল্লামা আসাদ হায়দার

অনুবাদ: আবুল কাসেম



[1]  যেহেতু বিদায় হজ থেকে ফিরে আসার পথে বালাগ  বা প্রচারের নির্দেশ সম্পর্কিত আয়াতটি নাজিল হয় এবং এ বিষয়টি খুইবই গুরুত্ববহ ছিল তাই এ হাজকে হাজ্জাতুল বালাগ বলা হয় যেমনটি ইবনে হিশাম তার সীরাত গ্রন্থে বলেছেন।

মন্তব্য দর্শকরা
নাম:
ই-মেল:
* অভিমত: