সমাজ ও সংস্কৃতি
মুসলিম নারী
উম্মে আমেরের নাম ছিল নাসীবা। উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এই আত্মোৎসর্গকারী নারীর সাহস ও বীরত্বের জন্য মহানবী (সা.) বিস্ময়বোধ করলেন। তিনি (সা.) যুদ্ধের মধ্যে যখন তাঁর সন্তানের আঘাতকারীকে দেখতে পেলেন, তখনই নাসীবাকে সম্বোধন করে বললেন : “তোমার সন্তানের আঘাতকারী হচ্ছে এই লোক।” প্রিয়জনের বিয়োগে বেদনাবিধুর এই নারী, যে এতক্ষণ পতঙ্গের ন্যায় হযরতের চারপাশে ঘূর্ণায়মান ছিল, এ কথা শোনার সাথে সাথে সিংহের মতো লোকটির ওপর আক্রমণ করল এবং তার পায়ের নলি বরাবর এমন আঘাত করল যে, তাতে লোকটি ধরাশায়ী হয়ে গেল।
আবূ সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ উহুদের যুদ্ধে মুসলমান শহীদগণের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গেঁথে গলার মালা তৈরি করে। ইসলামের আত্মত্যাগী বীর সেনাপতি হযরত হামযার পেট চিরে ফেলে। তাঁর কলিজা বের করে নিয়ে তা চিবায় এবং খাওয়ার জন্য বহু চেষ্টা করার পরও সে তা খেতে পারে নি। এ জঘন্য কাজটির কারণে হিন্দ মুসলমানদের মাঝে هند آكلة الأكباد ‘কলিজা ভক্ষণকারিণী হিন্দ’ নামে কুখ্যাত হয়।
মেয়েদের হিজাব বা শালীন পোষাক সম্পর্কে ইসলামের বিশেষ দর্শন রয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি, যা ইসলামী ‘হিজাব’ এর ভিত্তি। ‘হিজাব’ শব্দটির একটি প্রচলিত শাব্দিক অর্থের কারণে অনেকের মনে এ ধারণা তৈরী হয়েছে যে, ইসলাম চায় মেয়েরা গৃহবন্দী হয়ে পর্দার আড়ালে থাকুক। অথচ মেয়েদের পর্দা করার অর্থ এই নয় যে, তারা কখনো ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। ইসলামে মেয়েদের জন্য পর্দাপ্রথা থাকার অর্থ এই নয় যে, তারা ঘরে বন্দী হয়ে থাকবে। ইসলাম পর্দার মাধ্যমে মেয়েদের আটক করে রাখতে চায় না; বরং...