সমাজ ও সংস্কৃতি
আন্তধর্মীয় সংলাপ
কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ইসলামের সংগ্রাম
মূল : আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী
সংগ্রহে: আবুল কাসেম
আমরা যদি আরবদের মধ্যে প্রচলিত কুসংস্কারপূর্ণ সব আচার-আচরণকে (জাদু-টোনা, ঝাড়ফোঁক ইত্যাদি) ইসলামের সুদৃঢ় বিধিবিধানের সাথে তুলনা করি তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে, এই শরীয়ত তদানীন্তন আরব সমাজে প্রচলিত চিন্তাধারার সম্পূর্ণ বিপরীত। মহানবী (সা.) তাঁর সকল শক্তি নিয়োগ করে জাহেলিয়াতের নিদর্শনসমূহ যা ছিল বিভিন্ন ধরনের অসার কল্প-কাহিনী, অলীক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার তা মূলোৎপাটন করার চেষ্টা করেছেন।
আরবের সামাজিক অবস্থা ও ইসলামের সংস্কার
মূল: আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী
সংগ্রহে: আবুল কাসেম
সারাংশ: পাশ্চাত্যের প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক মেসিয়োর ন্যাঁ তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন, “এই বিস্ময়কর সুমহান ঘটনা (ইসলাম) --যা আরব জাতিকে দিগ্বিজয়ী এবং উন্নত চিন্তা ও ধ্যান-ধারণার উদ্ভাবকের পোশাকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে তা --ঘটার সময়কাল পর্যন্ত আরব উপদ্বীপের কোন অঞ্চলই না বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসের অংশ বলে গণ্য হতো, আর না বিজ্ঞান বা ধর্মের দৃষ্টিতে সেখানে সভ্যতার কোন নিদর্শন বিদ্যমান ছিল।”
জাহিলিয়াতের যুগে আরব সমাজ
মূল: আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী
সংগ্রহে: আবুল কাসেম
সারাংশ: মূর্তিপূজা সমগ্র আরবে প্রচলিত হয়ে পড়েছিল। বিভিন্নরূপে তাদের মাঝে এ মূর্তিপূজা অনুপ্রবেশ করেছিল। পবিত্র কাবা জাহেলী আরবদের পূজ্য প্রতিমা ও মূর্তির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছিল। প্রতিটি গোত্রেরই সেখানে একটি করে মূর্তি ছিল। কা’বাঘরে বিভিন্ন আকার-আকৃতির ৩৬০টির বেশি মূর্তি ছিল।
ইসলামী রাষ্ট্র ও সরকার তার মুসলমান অধিবাসীদের থেকে যে পরিমাণ অর্থ কর (যেমন: আয়কর, খাজনা ও ভূমিকর প্রভৃতি) হিসেবে গ্রহণ করে থাকে, তার ইহুদী ও খ্রিষ্টান নাগরিকদের থেকে জিযিয়া হিসাবে তার চেয়েও কম অর্থ গ্রহণ করে থাকে। এটি যথার্থ হিসেব করেই করা হয়ে থাকে। মুসলমানরা খুম্স ও যাকাত দেয়া ছাড়াও ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কখনো কখনো নিজের উপার্জন ও মূলধন হতেও খরচ করতে বাধ্য। অন্যদিকে ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা ইসলামের নিরাপত্তার পতাকাতলে জীবন যাপন করবে, তাদের সামাজিক ও ব্যক্তিগত অধিকারগুলো ভোগ করবে অথচ তারা ইসলামী রাষ্ট্র ও সরকারকে রক্ষার জন্য যুদ্ধ করতে ও এজন্য অর্থ খরচ করতে বাধ্য নয়। তাই এটি অন্যায্য কোন বিষয় নয়।