bayyinaat

সাময়িক বা খণ্ডকালীন বিবাহের সাথে স্থায়ী বিবাহের পার্থক্য

সাময়িক বা খণ্ডকালীন বিবাহের সাথে স্থায়ী বিবাহের পার্থক্য

সাময়িক বিবাহে জন্ম গ্রহণকারী সন্তানাদি সম্পূর্ণ বৈধ এবং তারা স্থায়ী বিবাহে জন্ম গ্রহণকারী সন্তানাদির ন্যায় প্রদত্ত অধিকারসমূহের প্রাপ্য হকদার। সাময়িক বিবাহে স্ত্রী জীবন নির্বাহের ব্যয় এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তির অংশীদার হবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু ফিকাহবিদের মত হচ্ছে যে, যদি স্ত্রী আকদের সময় জীবন নির্বাহের ব্যয় এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তির অংশীদারিত্বের শর্তারোপ করে তাহলে তাকে তা প্রদান করতে হবে।
“(ইসলামের আবির্ভাবের সাথে সাথে) সব ধরনের অলীক আচার-অনুষ্ঠান, আকীদা-বিশ্বাস, মিথ্যা অহমিকা ও গর্ব বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং তা আমার পদতলে রাখা হলো।

“(ইসলামের আবির্ভাবের সাথে সাথে) সব ধরনের অলীক আচার-অনুষ্ঠান, আকীদা-বিশ্বাস, মিথ্যা অহমিকা ও গর্ব বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং তা আমার পদতলে রাখা হলো।

কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ইসলামের সংগ্রাম মূল : আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী সংগ্রহে: আবুল কাসেম আমরা যদি আরবদের মধ্যে প্রচলিত কুসংস্কারপূর্ণ সব আচার-আচরণকে (জাদু-টোনা, ঝাড়ফোঁক ইত্যাদি) ইসলামের সুদৃঢ় বিধিবিধানের সাথে তুলনা করি তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে, এই শরীয়ত তদানীন্তন আরব সমাজে প্রচলিত চিন্তাধারার সম্পূর্ণ বিপরীত। মহানবী (সা.) তাঁর সকল শক্তি নিয়োগ করে জাহেলিয়াতের নিদর্শনসমূহ যা ছিল বিভিন্ন ধরনের অসার কল্প-কাহিনী, অলীক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার তা মূলোৎপাটন করার চেষ্টা করেছেন।
টমাস কারলাইল বলেছেন, “মহান আল্লাহ্ ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে আরব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পরিচালিত করেছেন।

টমাস কারলাইল বলেছেন, “মহান আল্লাহ্ ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে আরব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পরিচালিত করেছেন।

আরবের সামাজিক অবস্থা ও ইসলামের সংস্কার মূল: আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী সংগ্রহে: আবুল কাসেম সারাংশ: পাশ্চাত্যের প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক মেসিয়োর ন্যাঁ তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন, “এই বিস্ময়কর সুমহান ঘটনা (ইসলাম) --যা আরব জাতিকে দিগ্বিজয়ী এবং উন্নত চিন্তা ও ধ্যান-ধারণার উদ্ভাবকের পোশাকে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে তা --ঘটার সময়কাল পর্যন্ত আরব উপদ্বীপের কোন অঞ্চলই না বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসের অংশ বলে গণ্য হতো, আর না বিজ্ঞান বা ধর্মের দৃষ্টিতে সেখানে সভ্যতার কোন নিদর্শন বিদ্যমান ছিল।”
আমরা এদের (মূর্তিগুলো) উপাসনা করি এজন্য যে, এরা আমাদের আল্লাহর একেবারে নিকটবর্তী করে। (সূরা যুমার : ৩)

আমরা এদের (মূর্তিগুলো) উপাসনা করি এজন্য যে, এরা আমাদের আল্লাহর একেবারে নিকটবর্তী করে। (সূরা যুমার : ৩)

জাহিলিয়াতের যুগে আরব সমাজ মূল: আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী সংগ্রহে: আবুল কাসেম সারাংশ: মূর্তিপূজা সমগ্র আরবে প্রচলিত হয়ে পড়েছিল। বিভিন্নরূপে তাদের মাঝে এ মূর্তিপূজা অনুপ্রবেশ করেছিল। পবিত্র কাবা জাহেলী আরবদের পূজ্য প্রতিমা ও মূর্তির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছিল। প্রতিটি গোত্রেরই সেখানে একটি করে মূর্তি ছিল। কা’বাঘরে বিভিন্ন আকার-আকৃতির ৩৬০টির বেশি মূর্তি ছিল।
পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করা সবর্জনীন এক দায়িত্ব

কেননা মানুষের মধ্যে অন্য প্রাণী থেকে ভিন্ন লজ্জা নামক যে অনন্য এক প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তা রক্ষা করে না চললে তার সাথে পশুর কোন পার্থক্য থাকবে না। এজন্য ইসলাম কেবল বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ও ব্যভিচারকে নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ন হয়নি বরং মাহরাম বলে ঘোষিত বিশেষ ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহকে হারাম বলে গণ্য করেছে (নিসা:২৩)।

পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করা সবর্জনীন এক দায়িত্ব কেননা মানুষের মধ্যে অন্য প্রাণী থেকে ভিন্ন লজ্জা নামক যে অনন্য এক প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তা রক্ষা করে না চললে তার সাথে পশুর কোন পার্থক্য থাকবে না। এজন্য ইসলাম কেবল বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ও ব্যভিচারকে নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ন হয়নি বরং মাহরাম বলে ঘোষিত বিশেষ ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহকে হারাম বলে গণ্য করেছে (নিসা:২৩)।

সারাংশ: পরিবার হল সমাজের মানুষের বিকাশের স্থান। যে মতবাদ ও চিন্তাধারা যতটা পরিবারকে মূল্যবান জ্ঞান করে ততটা এর বন্ধনকে দৃঢ় ও শক্তিশালী করা এবং এ সামাজিক প্রতিষ্ঠানটিকে নিরাপদ ও এর সদস্যদের মনে প্রশান্তি বজায় রাখার প্রয়াস চালায়। ইসলাম মানুষের সহজাত প্রকৃতির সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল চিন্তাধারা হিসাবে পরিবারকে অপরিসীম গুরুত্ব দান করেছে এবং এর সংরক্ষণ ও প্রতিরক্ষায় উপযুক্ত ও কার্যকর নীতি ও বিধান প্রণয়ন করেছে।