ধর্ম ও বিশ্বদৃষ্টির মৌলিক সমস্যাসমূহের সমাধান

ধর্ম ও বিশ্বদৃষ্টির মৌলিক সমস্যাসমূহের সমাধান

শুধু ইন্দ্রিয় ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে বিশ্বদৃষ্টির মূলনীতিসমূহ ও এ সংক্রান্ত বিষয়াদির শনাক্তকরণ সম্ভব নয়। কারণ, এধরনের বিষয়গুলো অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের সীমাবহির্ভূত এবং কোন অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানই এ বিষয়গুলোর সম্পর্কে ইতিবাচক বা নেতিবাচক মন্তব্য করতে পারে না। যেমন: খোদার অস্তিত্বকে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ বা প্রত্যাখ্যান করা অসম্ভব।...
বিশ্বজনীন ন্যায়বিচার ইমাম মাহদী (আ.)-এর প্রতীক্ষায়

বিশ্বজনীন ন্যায়বিচার ইমাম মাহদী (আ.)-এর প্রতীক্ষায়

প্রত্যেক নবী তাঁর নিজ নিজ সামর্থ্য ও যুগের পরিস্থিতি অনুযায়ী এ পথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং কোন কোন নবী বিশেষ কোন ভৌগোলিক পরিসরে কোন বিশেষ যুগে খোদায়ী সরকার ও প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতেও সক্ষম হয়েছেন। তবে কোন নবীর পক্ষেই সমগ্র বিশ্বব্যাপী সত্য ও ন্যায়ের সরকার ও প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করার যাবতীয় শর্ত ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয় নি। তবে এরূপ ক্ষেত্র প্রস্তুত না হওয়ার অর্থ নবীদের ঐশী শিক্ষা ও নীতিমালা অপূর্ণাঙ্গ ও অপর্যাপ্ত হওয়া নয়। কারণ, মহান আল্লাহর লক্ষ্যই হচ্ছে বিকাশ ও পূর্ণতা প্রাপ্তির পানে মানবজাতির ঐচ্ছিক অগ্রযাত্রা ও অগ্রগতির জন্য উপযোগী ক্ষেত্র ও প্রয়োজনীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি প্রস্তুত করা।

নবীগণকে প্রেরণের আবশ্যকতা

সার্বিকভাবে জীবনের সঠিক কর্মসূচীর শনাক্তকরণের জন্যে মানব অস্তিত্বের প্রারম্ভ ও তার অস্তিত্বের জন্যে সম্পন্ন ক্রিয়াদি, অন্যান্য অস্তিত্বশীলের সাথে তার যে সম্বদ্ধ, একই শ্রেণীর ও অন্যান্য শ্রেণীর সৃষ্ট বিষয়াদির সাথে তার যে সম্পর্ক বিদ্যমান এবং তার কল্যাণ ও অকল্যাণের ক্ষেত্রে এ বহুবিধ সম্পর্কের যে প্রভাব ইত্যাদি সকল কিছু সম্পর্কে অবগত হওয়া অপরিহার্য।

ইমামত নবুওয়াতের নির্বাহী ক্ষমতার ধারাবাহিকতা

ইমামত হল একটি ঐশী মর্যাদা, যা মহান আল্লাহ্‌ কর্তৃকই যথোপযুক্ত ও যোগ্যতম ব্যক্তিদেরকে প্রদান করা আবশ্যক। আর মহান আল্লাহ্‌, মহানবী (সা.) এর মাধ্যমে এ কর্মটি সম্পাদন করেছেন এবং আমীরুল মু’মীনিন আলীকে (আ.) তাঁর উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেছেন। অতঃপর তাঁরই সন্তানদের মধ্য থেকে পরস্পরায় বারজনকে ইমামতের মর্যাদায় অভিসিক্ত করছেন।
আলী (আ.) মহানবী (সা.)-এর স্থলাভিষিক্ত মনোনীত হওয়ার যুক্তি কী?

আলী (আ.) মহানবী (সা.)-এর স্থলাভিষিক্ত মনোনীত হওয়ার যুক্তি কী?

ইমাম আলী (আ.) অনুপম বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ব্যক্তিত্ব ও স্বকীয় গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন। মহানবী (সা.) এর সাহাবীদের মধ্যে কেউই এ ধরনের ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন না। তাঁর যাবতীয় বৈশিষ্ট্য ও ফযিলত সংক্রান্ত পরিচিতি কেবল মহান আল্লাহ্ ও রাসূলুল্লাহ্ই জানেন। মহানবী (সা.) বলেছেন: ‘হে আলী! কেবল আল্লাহ্ এবং আমি ব্যতীত আর কারো পক্ষে তোমার প্রকৃত পরিচয় জানা সম্ভব নয়।’
1 2 3