bayyinaat

Published time: 20 ,November ,2018      20:04:02
কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মহানবী (সা:)-এর ইসমাত
সূরা নাজমের : ৩ ও ৪ আয়াতের ভিত্তিতে মহানবী (সা.)-এর শরীয়ত যা তিনি ওহী হিসেবে লাভ করেছেন এবং জনসাধারণের কাছে প্রচার ও বর্ণনা করেন তা হচ্ছে সেই বিষয় যা মহান আল্লাহ্ তাঁর ওপর অবতীর্ণ করেছেন অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) সম্পূর্ণরূপে নিষ্পাপ এবং সব ধরনের ভুল-ত্রুটি থেকে পবিত্র ও সংরক্ষিত (মাসুম)।
সংবাদ: 116

কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মহানবী (সা:)-এর ইসমাত

وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى‘আর নবী (সা.) নিজ প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে কিছু বলেন না; (যা কিছু তিনি বলেন) তা তার প্রতি প্রত্যাদেশকৃত ওহী ব্যতীত আর কিছু নয়।’সূরা নাজ্ম : ৩ ও ৪। 
 

সারাংশ: সূরা নাজমের : ৩ ও ৪ আয়াতের ভিত্তিতে মহানবী (সা.)-এর শরীয়ত যা তিনি ওহী হিসেবে লাভ করেছেন এবং জনসাধারণের কাছে প্রচার ও বর্ণনা করেন তা হচ্ছে সেই বিষয় যা মহান আল্লাহ্ তাঁর ওপর অবতীর্ণ করেছেন অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) সম্পূর্ণরূপে নিষ্পাপ এবং সব ধরনের ভুল-ত্রুটি থেকে পবিত্র ও সংরক্ষিত (মাসুম)।

ট্যাগ : ইসমাত, মহানবী (সা:)-এর ইসমাত, ইসমাত ও আদালত –এর পার্থক্য, কোরআন-সুন্নাহর দলিল.  

মূল প্রবন্ধ: নবীদের নিষ্পাপত্ব এমন সব বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত যেগুলো নিয়ে বিভিন্ন ইসলামী ফির্কা ও মাযহাবের আলেমদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য আছে। তবে ইমামীয়া শিয়া মাযহাবই হচ্ছে একমাত্র মাযহাব যারা নবীদের নিষ্পাপত্ব সংক্রান্ত স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। শেখ মুফিদ(র.)এ ব্যাপারে বলেন : ইসলামী ফির্কাসমূহের মাঝে একমাত্র ইমামীয়া শিয়া ব্যতীত আর কোন ফির্কা নেই যারা নবীদের ব্যাপারে নিরঙ্কুশ নিষ্পাপত্বে বিশ্বাসী।

ইসমাত শব্দের আভিধানিক অর্থ : عصم (আস্ম) ধাতুর ক্ষেত্রে মাকায়িসুল লুগাহ্ অভিধানে লেখা হয়েছে : এ শব্দটি (আসম عصم) হচ্ছে এমন একটি আস্ল (اصل) অর্থাৎ ধাতুমূল যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে সযত্ন সংরক্ষণ ও সার্বক্ষণিক সংশ্লিষ্টতা। আর ইসমাত’ (عِصمَت) শব্দটিও এই عصم (আস্ম) ধাতুমূল থেকেই উৎসারিত।ইসমাতশব্দের পারিভাষিক অর্থ : কেউ কেউ (عِصمَت) শব্দটির পারিভাষিক সংজ্ঞা প্রদানের ক্ষেত্রে এ শব্দটিকে লুত্ফ’ (لطف) অর্থাৎ অনুগ্রহঅর্থে ব্যাখ্যা করেছেন।১ শেখ মুফীদ (র.) বলেন : কালাম শাস্ত্রবিদদের পরিভাষায় ইসমাতশব্দটি ঐ ব্যক্তির সাথে একান্ত সংশ্লিষ্ট যে আল্লাহ্ পাকের অনুগ্রহে এবং নিজ ইখতিয়ার (স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি) বলে নিজেকে পাপ এবং সব ধরনের মন্দ ও গর্হিত কার্যকলাপ থেকে সংযত ও বিরত রাখে।তবে কতিপয় আলেম ইসমাতকে স্থায়ী আত্মিক গুণ (ملکه نفسانیه) বলেও অভিহিত করেছেন। আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমোলী বলেন : ইসমাত হচ্ছে এমন একটি শক্তিশালী অপরিবর্তনীয় আত্মিক গুণ যা সর্বদা একজন নিষ্পাপ ব্যক্তির মাঝে প্রকাশ্যে বিরাজমান এবং ক্রোধ ও প্রবৃত্তির মত অন্য যে কোন শক্তি তা বিলুপ্ত করে না।২

ইসমাত ও আদালত (ন্যায়পরায়ণতা)-এর মধ্যে পার্থক্য

ইসমাতশব্দটিকে স্থায়ী আত্মিক গুণ বলে অভিহিত করার কারণে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। আর তা হলো : ইসমাতআদালতএর মধ্যে পার্থক্যটা কেমন? কারণ, আদালতের সংজ্ঞায়ও স্থায়ী আত্মিক গুণ উল্লেখ ও ব্যবহার করা হয়েছে।

এ দুই শব্দের মধ্যকার পার্থক্য সংক্ষেপে এভাবে বলা যেতে পারে : অস্তিত্বগত পর্যায়ে আদালত ইসমাত অপেক্ষা দুর্বল। অন্যদিকে ভুল, অসাবধানতা, উদাসীনতা এবং বিস্মৃতি আদালতের পরিপন্থী নয়। কিন্তু এগুলো ইসমাতের সাথে মোটেও খাপ খায় না। উল্লেখ্য যে, আদালত জ্ঞানগত ও তাত্ত্বিক গুণাবলীর অন্তর্গত নয়, বরং কর্মগত আপাত স্থায়ী গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত।

কোরআন-সুন্নাহ্ ভিত্তিক দলীল (دليل نقلي) : পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এ বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় যে, নবীদের ইসমাত একটি সুস্পষ্ট বিষয়। আলোচনার কলেবর ও ধারণা ক্ষমতার আলোকে নিচে কতিপয় আয়াত উল্লেখ করা হলো। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন :

وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى

আর নবী (সা.) নিজ প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে কিছু বলেন না; (যা কিছু তিনি বলেন) তা তার প্রতি প্রত্যাদেশকৃত ওহী ব্যতীত আর কিছু নয়।

এ আয়াতের ভিত্তিতে মহানবী (সা.)-এর শরীয়ত যা তিনি ওহী হিসেবে লাভ করেছেন এবং জনসাধারণের কাছে প্রচার ও বর্ণনা করেন তা হচ্ছে সেই বিষয় যা মহান আল্লাহ্ তাঁর ওপর অবতীর্ণ করেছেন অর্থাৎ এ স্থলে মহানবী (সা.) সম্পূর্ণরূপে নিষ্পাপ এবং সব ধরনের ভুল-ত্রুটি থেকে পবিত্র ও সংরক্ষিত (মাসুম)।

যে সব আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, মহান নবিগণ ওহী অর্থাৎ প্রেরিত প্রত্যাদেশ ও ঐশী বাণী (বিধি-বিধান) ইত্যাদি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সব ধরনের দোষ-ত্রুটি ও ভুল-ভ্রান্তি থেকে মুক্ত ও পবিত্র অর্থাৎ তাঁরা ওহী প্রাপ্তি, সংরক্ষণ, প্রচার ও বাস্তবে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ইসমাতের অধিকারী, সেগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ :

فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّىَ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُواْ فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسْلِيمًا

আপনার প্রভুর শপথ, সে পর্যন্ত তারা মুমিনই হতে পারবে না যে পর্যন্ত না তারা আপনাকে নিজেদের মধ্যকার বিরোধ নিষ্পত্তি ও মীমাংসা করার জন্য বিচারক হিসেবে গ্রহণ করবে। অতঃপর আপনি যে বিচার ও ফয়সালা প্রদান করবেন সে ক্ষেত্রে তারা মনে কোন অসন্তোষ ও দ্বিধা পোষণ করবে না এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে নেবে।

وَلَوْلاَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّت طَّآئِفَةٌ مُّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلاُّ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيْءٍ وَأَنزَلَ اللّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا

যদি মহান আল্লাহর দয়া আপনার ওপর না থাকত তাহলে তাদের (জনগণের) মধ্য থেকে একটি গোষ্ঠী আপনাকে সত্যপথ থেকে বিচ্যুত করার ব্যাপারে (সাহস করত ও) চেষ্টা চালাত। আর তারা নিজেদেরকে ব্যতীত আর কাউকে বিচ্যুত করে না এবং তারা আপনার কোন ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম নয়। মহান আল্লাহ্্ আপনাকে আপনার ওপর কিতাব (কোরআন) ও প্রজ্ঞা (হিকমত) অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনি যা জানতেন না তা আপনাকে শিখিয়েছেন। আর আপনার ওপর আল্লাহ্্র মহাঅনুগ্রহ রয়েছে।

আয়াতুল্লাহ্ জাওয়াদী আমোলী উপরিউক্ত আয়াতদ্বয়ের ব্যাখ্যায় লিখেছেন :

এ দুই আয়াতের ব্যাখ্যার সংক্ষিপ্ত সার হচ্ছে এই যে, একদিক থেকে ঐশী গ্রন্থসমূহ অবতীর্ণ করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নবীকে আল্লাহপাক যে জ্ঞান দান করেছেন তার ভিত্তিতে জনগণের মাঝে বিচার করা ও ফয়সালা প্রদান। অন্যদিকে, সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার কার্য পরিচালনা ও ফয়সালা প্রদানের বিষয়টি বিধি-বিধান ও আইনের বিষয়বস্তু সংক্রান্ত জ্ঞানের ওপর একান্ত নির্ভরশীল। আর এ বিষয়টি সূরা নিসার ১১৩ নং আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান ও বোধগম্য হয়ে যায়।

 আল্লামা তাবাতাবাঈ (রহ.) আল-মীযান গ্রন্থে এ দুটি আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন :

যে বিষয়ের মাধ্যমে ইসমাত বাস্তবায়িত হয় তা হচ্ছে এমন এক ধরনের জ্ঞান যা তার ধারককে পাপ ও ভুল-ভ্রান্তিতে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে। অন্যভাবে বলা যায়, তা হচ্ছে এমন এক জ্ঞান  যা বিচ্যুতির হাত থেকে রক্ষা করে। (وَأَنزَلَ اللّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ) মহান আল্লাহ্ আপনার ওপর কিতাব ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন-এর অর্থ হচ্ছে কিতাব ও প্রজ্ঞা আপনার প্রতি ওহী করেছেন; আর এ ওহী হচ্ছে মহানবী (সা.)-এর জন্য এক ধরনের ঐশী শিক্ষা (তালীম-ই ইলাহী)। তবে (وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ) তুমি যা জানতে (সক্ষম ছিলে) না তা আপনাকে আল্লাহ্ পাক শিখিয়েছেন- এ আয়াতস্থ শিক্ষা বা জ্ঞানের অর্থ ঐ জ্ঞান (علم) যা ওহীর মাধ্যমে তিনি (সা.) অর্জন করেছেন। কারণ, সূরা নিসার ৬৫ নং আয়াতের বিষয়বস্তু হচ্ছে বিরোধ ও বিবাদ নিষ্পত্তি ও মীমাংসা করার ক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর বিচারকার্য পরিচালনা। আর বিবদমান পক্ষসমূহ এক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর কাছে ফয়সালা প্রদানের আহবান জানাত। তাই উল্লিখিত দুই আয়াতের কাঙ্ক্ষিত অর্থ হচ্ছে দুধরনের জ্ঞান : ১. ওহীর মাধ্যমে শিক্ষাদান (تعليم) অর্থাৎ ওহীলব্ধ জ্ঞান এবং ২. মহানবী (সা.)-এর হৃদয়ের ওপর প্রক্ষিপ্ত জ্ঞান অর্থাৎ ইলহাম্লব্ধ জ্ঞান।

মহান নবিগণ সবাই নিষ্পাপ ও পবিত্র ছিলেন বিশেষ করে সেই সব নবী যাঁরা হচ্ছেন উলূল আযমযাঁদের শীর্ষে রয়েছেন মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.), যিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ইসমাত-এর অধিকারী। পবিত্র কোরআন মহানবী (সা.)-এর আনুগত্যকে মহান আল্লাহর আনুগত্য বলেই গণ্য করেছে। বর্ণিত হয়েছে :

 مَّنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ وَمَن تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا 

যে রাসূলের আনুগত্য করে সে মহান আল্লাহরই আনুগত্য করে। আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমরা আপনাকে তাদের ওপর তত্ত¡াবধায়করূপে প্রেরণ করি নি। 

ইমাম ফখরুদ্দীন আল-রাযী এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন :

এ আয়াতটি হচ্ছে মহানবী (সা.) যে সকল বিধি-নিষেধ প্রদান করার ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত তার দলীল।... আর সকল কাজকর্মেও তাঁর মাসুম হওয়া অপরিহার্য ও জরুরি।১০ 

এ পর্যন্ত যে সব দলীল (বুদ্ধিবৃত্তিক ও কোরআন-সুন্নাহ্ ভিত্তিক দলীল) উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, নবিগণ বিশেষ করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, তিনি নিরঙ্কুশ ইসমাতের অধিকারী। এ কারণেই উপরিউক্ত দলীল-প্রমাণাদির নিরঙ্কুশ ও সর্বজনীন হওয়ার আলোকে আমরা (ইমামীয়া শিয়া) বিশ্বাস করি যে, ইসমাত মহান নবীদের জীবনের সকল বিষয় ও দিককে পরিব্যাপ্ত করে আছে। এতদপ্রসঙ্গে জামীল্ হামূদ ঈসা (আ.) সম্পর্কে অবতীর্ণ (...وجعلنی نبيّا و جعلنی مبارکاً...) ...‘(মহান আল্লাহ্) আমাকে নবী করেছেন এবং আমাকে তিনি বরকত ও কল্যাণময়  করেছেন’...- আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন :

যদি আমরা ধরে নেই যে, মুহাম্মাদ (সা.) বিষয়সমূহ সুনির্দিষ্ট ও পৃথক করে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে মাসুম নন তাহলে এর ফলে অনিবার্য হয়ে যাবে যে, তিনি মুবারক (বরকত ও কল্যাণময়) নন।১১

ফলাফল

নবিগণ সবাই মাসুম (নিষ্পাপ)। আর মহানবী (সা.), যিনি উলূল আযম নবীদের অন্তর্ভুক্ত, বরং তাঁদের সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, তিনিও নিরঙ্কুশ ইসমাতের অধিকারী। কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক দলীল প্রমাণাদির আলোকে মহান নবিগণ তথা মহানবী (সা.)-এর ইসমাত নিরঙ্কুশ ও নিঃশর্ত হওয়ার কারণে তা ব্যাপক পরিসরে প্রতিষ্ঠিত ও প্রমাণিত হয়ে যায়। শেখ সাদূক এতদপ্রসঙ্গে বলেন : আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে এই যে, তাঁরা (নবিগণ) যেমন পূর্ণতার বিশেষণে বিশেষিত, ঠিক তেমনি তাঁরা বিদ্যা ও জ্ঞান দ্বারাও ভূষিত; তাঁদের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, এমনকি খুঁটি-নাটি ক্ষেত্রেও তাঁদের কোন ভুল-ভ্রান্তি, পাপ ও অজ্ঞতা নেই।

সংগ্রহে : মো. ফারুক হুসাইন

তথ্যসূত্র[1]

 

 



[1]. মুহাম্মাদ বিন নুমান (শেখ মুফীদ) প্রণীত আওয়ায়েলুল মাকালাত, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৫৬।

২.আহমদ ইবনে ফারেস ইবনে যাকারিয়া প্রণীত মাকায়ীসুল লুগাহ্, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১১৩।

৩. সূরা নাজ্ম : ৩ ও ৪।

৪. সূরা নিসা : ৬৫।

৫. সূরা নিসা : ১১৩।

৬. তাফসীরুল মীযান, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৭৭-৮০।

৭. সূরা নিসা :৮০।

৮. তাফসীরুল মীযান, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৭৭-৮০।

৯. সূরা নিসা : ৮০।

১০.ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী প্রণীত আত্-তাফসীর আল-কাবীর, ৯ম খণ্ড, পৃ. ১৯৩।

১১. মারইয়াম : ৩০-৩১।

মন্তব্য দর্শকরা
নাম:
ই-মেল:
* অভিমত: