bayyinaat

মৌল বিশ্বাস
ইমামত
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: ‘যদি কেউ রাসূলদেরকে প্রতিপালক মনে করে ও (রাসূলের স্থলাভিষিক্ত) ইমামদেরকে প্রতিপালক অথবা নবী মনে করে এবং (আল্লাহর মনোনীত) ইমাম ছাড়া অন্যদেরকে ইমাম মনে করে তাহলে দুনিয়াতে ও আখেরাতে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই।’ ৫
সারাংশ: আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমি অতিরঞ্জনকারীদের (নুসাইরী) প্রতি অসন্তুষ্ট, যেভাবে মারিয়ামের সন্তান ঈসা (আ.) খ্রিষ্টানদের প্রতি অসস্তুষ্ট ছিলেন। হে আল্লাহ! তাদেরকে সব সময় অপমানিত ও লাঞ্ছিত কর; তাদের কাউকে কোন সাহায্য করো না।
প্রত্যেক নবী তাঁর নিজ নিজ সামর্থ্য ও যুগের পরিস্থিতি অনুযায়ী এ পথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং কোন কোন নবী বিশেষ কোন ভৌগোলিক পরিসরে কোন বিশেষ যুগে খোদায়ী সরকার ও প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতেও সক্ষম হয়েছেন। তবে কোন নবীর পক্ষেই সমগ্র বিশ্বব্যাপী সত্য ও ন্যায়ের সরকার ও প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করার যাবতীয় শর্ত ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয় নি। তবে এরূপ ক্ষেত্র প্রস্তুত না হওয়ার অর্থ নবীদের ঐশী শিক্ষা ও নীতিমালা অপূর্ণাঙ্গ ও অপর্যাপ্ত হওয়া নয়। কারণ, মহান আল্লাহর লক্ষ্যই হচ্ছে বিকাশ ও পূর্ণতা প্রাপ্তির পানে মানবজাতির ঐচ্ছিক অগ্রযাত্রা ও অগ্রগতির জন্য উপযোগী ক্ষেত্র ও প্রয়োজনীয় পরিবেশ-পরিস্থিতি প্রস্তুত করা।
ইমামত হল একটি ঐশী মর্যাদা, যা মহান আল্লাহ্‌ কর্তৃকই যথোপযুক্ত ও যোগ্যতম ব্যক্তিদেরকে প্রদান করা আবশ্যক। আর মহান আল্লাহ্‌, মহানবী (সা.) এর মাধ্যমে এ কর্মটি সম্পাদন করেছেন এবং আমীরুল মু’মীনিন আলীকে (আ.) তাঁর উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেছেন। অতঃপর তাঁরই সন্তানদের মধ্য থেকে পরস্পরায় বারজনকে ইমামতের মর্যাদায় অভিসিক্ত করছেন।