bayyinaat

Published time: 04 ,December ,2018      22:51:20
ইতিহাসের পাতায় ফাদাক
ফাদাকের ব্যাপারটি খেলাফতের সাথে সুগভীরভাবে সম্পৃক্ত। প্রত্যেক খলিফা সেটাকে ঘিরে স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়েছেন, কেউ তা দখল করতেন আবার কেউ পুনরায় ফিরিয়ে দিতেন। এ অবস্থা ততদিন যাবত অব্যাহত ছিল, যখন উক্ত ভূমিটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস ও বিলুপ্তির শিকার হয়। এক্ষেত্রে যে বিষয়টি মুখ্য ব্যাপার ছিল, তা হচ্ছে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাসূল (সা.)-এর খেলাফত দখল করা।
সংবাদ: 159
 ইতিহাসের পাতায় ফাদাক
মূল প্রবন্ধ: ফাদাকের ধারাবাহিক ইতিহাস ইসলামের অন্যতম আশ্চর্যজনক ইতিহাস। এ আলোচনার শুরুতে আমরা যে বিষয়টির অবতারণা করব তা হল ফাদাক কিভাবে আহলে বাইত (আ.)-এর নিকট ফিরে আসে। প্রত্যেক খলিফা সেটাকে ঘিরে স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়েছেন, কেউ তা দখল করতেন আবার কেউ পুনরায় ফিরিয়ে দিতেন। এ অবস্থা ততদিন যাবত অব্যাহত ছিল, যখন উক্ত ভূমিটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস ও বিলুপ্তির শিকার হয়। এ উর্বর ভূমির উপর বয়ে যাওয়া নানা চড়াই উৎরাই সম্পর্কে অবহিত হওয়ার লক্ষ্যে নিম্নের বিষয়বস্তুর প্রতি আলোকপাত করা অত্যন্ত জরুরী :
     (১) ফাদাক ভূমিটি খায়বার বিজয়ের পর ইহুদীদের পক্ষ থেকে এক সন্ধিচুক্তির বিনিময়ে রাসূল (সা.)-এর হস্তগত এবং পবিত্র কোরআনের ﴿وما افاءالله على رسوله...﴾১ আয়াত অনুসারে সেটির সম্পূর্ণ মালিকানা তাঁর অধীনস্থ হয়।
     (২) ইসলামের ইতিহাসের প্রসিদ্ধ সূত্র অনুসারে রাসূল (সা.) উক্ত ভূমিটি পবিত্র কোরআনের
﴿وآت ذاالقربى حقّه﴾২ আয়াতের নিদের্শক্রমে হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) কে উপহার প্রদান করেন। আর এভাবে সেটি নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর অধীনে অর্পিত হয়।
     (৩) প্রথম খলিফার খেলাফতকালে উক্ত ভূমিটি দখল এবং ক্ষমতাসীন প্রশাসনের অধীনস্থ হয়। আর  তারা অত্যন্ত  কঠোরহস্তে সে অবস্থা বহাল রাখার চেষ্টা চালায়।
     (৪) এ দখল অবস্থা উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজিজের খেলাফত কাল অবধি অব্যাহত ছিল। সে রাসূল (সা.)-এর আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি উদার আচরণে বিশ্বাসী ছিল। ফলে সে মদীনার গভর্নর উমর ইবনে হায়মের প্রতি নির্দেশ প্রদান করে : ফাদাক ভূমিটি ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর সন্তানদের নিকট ফেরত দাও।
     মদীনার গভর্নর উক্ত নির্দেশের জবাবে পাঠানো চিঠিতে লিখে : ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর সন্তানাদের সংখ্যা অনেক এবং তারা বিভিন্ন গোত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। এখন কোন গোত্রের নিকট তা ফেরত দিব ?
     উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাগান্বিত হয় এবং অত্যন্ত কঠোর ভাষায় নিচের চিঠিটি মদীনার গভর্নরের নিকট পাঠায়:
«امّا بعد،  فانّي لو كتبت اليك آمرك ان تذبح شاة لكتبت الىّ اجمّاءُ ام قرناءُ؟ او كتبت اليك ان تذبح بقرة لسألتني ما لونها؟  فاذا ورد كتابي هذا فاقسمها فى ولد فاطمة من عليّ والسّلام»
"যখনই আমি চিঠির মাধ্যমে তোমাকে নির্দেশ দেই যে, একটি ভেড়া জবাই কর। তুমি তৎক্ষণাৎ জবাবে জানতে চাও যে, ভেড়াটি শিংধারী হবে, নাকি শিংবিহীন? আর যদি কোন গরু জবাই করতে বলি,  তবে তুমি প্রশ্ন কর যে, সেটির রং কেমন হবে? এ পত্রটি তোমার হাতে পৌছানো মাত্রই ফাদাক আলী (আ.)-থেকে ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর সন্তানদের মাঝে বন্টন করবে।”৩ এভাবে সময়ের আবর্তে বহু বছর পর ফাদাক ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর সন্তানাদির নিকট ফিরে আসে।
     (৫) কিছুকাল অতিবাহিত হতে না হতেই উমাইয়া শাসক ইয়াজিদ ইবনে আব্দুল মালিক সেটাকে পুনরায় দখল করে নেয়।
     (৬) অবশেষে বনী উমাইয়ার শাসনকালের অবসান ঘটে এবং বনী আব্বাসী ক্ষমতাসীন হয়। প্রখ্যাত আব্বাসী খলিফা আবুল আব্বাস সাফফাহ উক্ত ভূমিটি হযরত ফাতেমার বংশের (আ.)-এর প্রতিনিধি হিসাবে আব্দুল্লাহ বিন হাসান বিন আলীর নিকট ফেরত দেয়।
     (৭) কিছূ দিন পর সেটাকে আবু জাফর আব্বাসী তা বনী হাসানের নিকট থেকে দখল করে নেয়। (কেননা, তারা বনী আব্বাসীদের বিরুদ্ধে বিদ্র্রোহ করেছিল।)
     (৮) আবু জাফরের পুত্র মাহদী আব্বাসী তা পুনরায় বনী ফাতেমার নিকট ফেরত দেয়।
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                  (৯) বনী আব্বাসীর অপর খলিফা মূসা আল্ হাদী আবারও তা দখল করে এবং হারুন আর রশীদের শাসনকালেও তা অব্যাহত থাকে।
     (১০) খলিফা মামুন রাসূল (সা.)-এর আহলে বাইত (আ.) এবং আলী (আ.) ও ফাতেমা (আ.)-এর সন্তানাদির প্রতি বাহ্যিক ভক্তি ও ভালবাসার কারণে এক আনুষ্ঠনিকতার মাধ্যমে ফাদাক ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর সন্তানদের নিকট ফেরত দেয়।
     ইতিহাসে  উল্লেখ করা হয়েছে :  খলিফা মামুন মদীনার গভর্নর কাসাম বিন জাফরের নিকট একটি চিঠিতে লিখে :
انه كان رسول الله اعطى ابنته فاطمة فدكاً و تصدّق عليها بها،  و انّ ذالك كان امراً ظاهراً معروفاً عند آله عليهم السّلام،  ثمّ لم تزل فاطمة تدّعي منه بما هي اولى من صدق عليه، و انه قد رأى ردّها الى ورثتها و تسليمها الى محمد بن يحيى بن الحسين بن زيد بن عليّ. . . و محمد بن عبد الله بن الحسين... ليقوما بها لاَهلهما
"রাসূল (সা.) ফাদাকটি তাঁর কন্যা হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) কে উপহার দেন এবং এ বিষয়টি আহলে বাইত (আ.)-এর নিকট খুবই স্পষ্ট ও পরিস্কার ছিল। আর ফাতেমা যাহরা (আ.) সর্বদা সেটার মালিকানা দাবী করেছেন এবং তাঁর কথা অন্য সবার অপেক্ষা অধিকতর সত্যায়ন ও গ্রহণযোগ্য। আমি সেটাকে তাঁর উত্তরাধিকারীদেরকে ফেরত দেওয়া উত্তম মনে করছি। তাই মুহাম্মাদ বিন ইয়াহিয়া ও মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহকে [ ইমাম জয়নুল আবেদীন (আ.)-এর নাতিদ্বয়] তা ফেরত দিবে, যাতে করে তাঁরা সেটার অধিকারীদের মাঝে বন্টন করতে পারে।
     ইবনে আবিল হাদীদ (রহঃ) বলেন : খলিফা মামুন লোকদের অভিযোগসমূহের সমাধানের নিমিত্তে উপবিষ্ট ছিল।  প্রথম অভিযোগটি হাতে নিয়ে দেখে যে, তা ফাদাক সংক্রান্ত বিষয়ে।  তখন সে অভিযোগেটি পাঠ করার পর কেঁদে ফেলে এবং তার একজন কর্মীকে বলে : ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর উকিল কোথায়?
     সে সময় একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি সামনে এসে খলিফা মামুনের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করে। মামুন নির্দেশ দিল যে, আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতিনিধি হিসেবে ফাদাকটি তার নিকট অর্পন করা হোক।
     যখন মামুন উক্ত নির্দেশনামাতে স্বাক্ষর করে, তখন দে’বেল নামক জনৈক কবি উঠে দাড়ায় এবং একটি কবিতা পাঠ করে, যার প্রথম পংক্তিটি ছিল এরূপ :
اصبح وجه الزمان قد ضحكاً            بردّ مأمون هاشماً فدكاً!
"যুগের চেহারা আজ হাস্যোজ্বল, কারণ মামুন ফাদাক বনী হাশীমের নিকট ফেরত দিয়েছে।” ৪
     ফাদাক গ্রন্থের রচয়িতা লিখেছেন : খলিফা মামুন আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর বর্ণিত রেওয়ায়েতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, "রাসূল (সা.) ফাতেমা যাহরা (আ.) কে ফাদাক উপহার দিয়েছিলেন।” তাই সে ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর সন্তানাদির নিকট ফাদাক ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।৫
     (১১) কিন্তু মোতাওয়াক্কিল আব্বাসী আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি চরম বিদ্বেষবশতঃ পুনরায় হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর সন্তানদের থেকে ফাদাক জবর দখল করে নেয়।
     (১২) মোতাওয়াক্কিলের পুত্র মুন্তাসির নির্দেশ প্রদান করে যে, ফাদাক ইমাম হাসান (আ.) ও হুসাইন (আ.)-এর সন্তানদের নিকট ফেরত দেওয়া হোক।
     সুতরাং, এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, যে ভূমিটি এভাবে একজনের অধীন থেকে অন্যজনের অধীনস্থ এবং প্রতিনিয়ত বিদ্বেষপরায়ণ রাজনীতিবিদদের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়, তা দ্রুতগতিতে সময়ের আবর্তে বিলুপ্তির শিকার হবে।  আর অবশেষে ফাদাক এমন পরিণতির শিকার  হয় এবং সেটির সকল উর্বরতা নিঃশেষ ও বৃক্ষাদি শুস্ক হয়ে যায়।
     অথচ এ ধরনের পুনঃপুনঃ স্থানান্তর এ বিষয়টির প্রতি ঈঙ্গিত বহন করে যে, খলিফারা ফাদাকের ক্ষেত্রে স্পর্শকতার ছিলেন। তাদের প্রত্যেকে সেটির ক্ষেত্রে স্ব-স্ব বিশেষ রাজনৈতিক অবস্থান ও প্রতিক্রিয়ার পরিচয় দিয়েছেন।
     এ বিষয়টি প্রমাণ বহন করে যে, হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) ও তাঁর সন্তানদের থেকে ফাদাক দখলের ব্যাপারটি অর্থনৈতিক অপেক্ষা রাজনৈতিকভাবে বেশি গুরুত্ববহ ছিল এবং এটার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁদেরকে সামাজিক ভাবে কোণঠাসা করে রাখা ও তাঁদের অবস্থান দূর্বল করা। সাথে সাথে রাসূল (সা.)-এর আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি শত্রুতাপোষণ করা। অনুরূপভাবে আহলে বাইত (আ.)-এর নিকট ফাদাক ফেরত দেওয়া, যেমনটি সময়ের আবর্তে ইতিহাসে বহুবার সংগঠিত হয়েছে। সেটি ছিল রাসূল (সা.)-এর আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি বাহ্যিক সহানুভূতি প্রকাশের একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপস্বরূপ।
     সাধারণ মুসলমানদের মাঝে ফাদাকের এত অধিক গুরুত্ব ও মর্যাদা ছিল যে, কিছু কিছু ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে : আব্বাসী খলিফা মোতাওয়াক্কিলের যুগে বনী ফাতেমা (আ.) থেকে ফাদাক দখলের পূর্বে সে ভূমিতে উৎপাদিত খোরমা, হজ্বের মৌসূমে হাজীদের মাঝে আনা হত এবং সেগুলো তারা বরকতময় ও তাবাররুক হিসেবে অত্যন্ত চড়ামূল্যে ক্রয় করত। ৬
ফাদাকের আয়তন
ফাদাক (যেমনভাবে পূর্বে উল্লেখ করেছি)  খায়বারের নিকটবর্তী একটি সবুজ-শ্যামল ও উর্বর ছোট গ্রাম ছিল। আর এটির আয়তনও কারও নিকট অজানা ছিল না। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে যখন হারুনুর রশীদ হযরত ইমাম মুসা ইবনে জাফর (আ.)-এর নিকট অনুরোধ জানায় : 
«حدّ فدكاً حتى اردُّها اليك»
‘ফাদাকের আয়তন নির্দিষ্ট করুন, যাতে করে তা আপনার নিকট ফেরত দিতে পারি।”
      ইমাম (আ.) জবাব দেওয়া হতে বিরত থাকেন, কিন্তু হারুন বারবার উক্ত প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। ফলে ইমাম (আ.) বলেন :  আমি যদি বলি তবে, সেটির প্রকৃত আয়তনই বলব। হারুন বলল : সেটির প্রকৃত আয়তন কতটুকু?
ইমাম (আ.) বলেন :  আমি যদি সেটির প্রকৃত আয়তন প্রকাশ করি, তবে অবশ্যই তুমি তাতে সম্মত হবে না।
হারুন বলল : আপনার পিতামহের (রাসূল (সা.)-এর) শপথ! সেটির আয়তন বলুন (আমি তা প্রদান করব)।
তখন ইমাম (আ.) বলেন : সেটির প্রথম আয়তন হচ্ছে "আদ্ন” ভূমি। যখন হারুন এ কথাটি শুনে, তখন তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায় এবং বলে উঠে : আশ্চর্য! আশ্চর্য! ... ইমাম (আ.) বলেন : সেটির দ্বিতীয় আয়তন হচ্ছে সামারকান্দ। তখন হারুনের চেহারায় বিক্ষোভের ছাপ প্রকাশিত হয়। ইমাম (আ.) বলেন : আর তৃতীয় আয়তন হচ্ছে আফ্রিকা। এ কথা শোনার পর হারুনের চেহারা বিক্ষোভে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং বলতে থাকে, আশ্চর্য ! ...
     অতঃপর ইমাম (আ.) বলেন : সেটির চতুর্থ আয়তন হচ্ছে ক্যাস্পিয়ান সাগরের উপকুলীয় অঞ্চলসমূহ ও আর্মেনীয়া।
     হারুন বলল : তাহলে তো আমাদের জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না। আসুন! আমার আসনে উপবেশন এবং শাসনক্ষমতা গ্রহণ করুন!(এ কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে যেগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, তা সমস্ত ইসলামী দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত।)
      ইমাম (আ.) বলেন : আমি পূর্বেই তোমাকে বলেছিলাম যে, যদি সেটির আয়তন নির্দিষ্ট করি তবে তুমি কখনও তা প্রদানে সম্মত হবে না।
     এ ঘটনার পর হারুন, ইমাম মুসা ইবনে জাফর (আ.) কে শহীদ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
     উপরোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ হাদীসটির মাধ্যমে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, ফাদাকের ব্যাপারটি খেলাফতের সাথে সুগভীরভাবে সম্পৃক্ত। আরও প্রমাণিত হয় যে, এক্ষেত্রে যে বিষয়টি মুখ্য ব্যাপার ছিল, তা হচ্ছে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক রাসূল (সা.)-এর খেলাফত দখল করা। যদি হারুন ফাদাক ফেরত দিতে চায়, তবে অবশ্যই তাকে খেলাফত থেকেও সরে দাঁড়াতে হবে। আর  এ বিষয়টি তাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে যে, যদি কখনও ইমাম মুসা ইবনে জাফর (আ.) শক্তি অর্জন করে , তবে তাকে খেলাফত থেকে পদচ্যুত করবে। ফলশ্রুতিতে সে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ইমাম (আ.) কে শহীদ করবে।

1.    সূরা হাশর, আয়াত নং ১৭।
2.    সূরাঃ ইসরা, আয়াত নং , ২৬।
3.    ফুতুহুল বুলদান , পৃঃ ৩৮।
4.    ইবনে আবীল হাদীদ রচিত শারহে নাহজুল বালাগা, খণ্ড ১৬, পৃঃ-২১৭।
5.    কাজভিনী হায়েরী রচিত "ফাদাক”, পৃঃ ৬০।
6.    শারহে নাহজুল বালাগা, খণ্ড ১৬, পৃঃ-২১৭।
 

ট্যাগ: ফাদাক, খলিফা আবুবকর, খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজিজ, আব্বাসীয় খলিফারা,


মন্তব্য দর্শকরা
নাম:
ই-মেল:
* অভিমত: