bayyinaat

প্রচ্ছদ
Explore
আয়াতে তাবলীগ বা তাবলীগের আয়াত 
يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ بَلِّغْ مَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَۖ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُۥۚ وَٱللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ ٱلنَّاسِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْكَٰفِرِينَ
আল-কোরআনে গাদীরের ঐতিহাসিক ঘোষণা (১) অনুবাদ: কামরুল হাসান সংযোজন ও সম্পাদনা: আবুল কাসেম সারাংশ: দশম হিজরির ১৮যিলহজে মহানবি (সা.) কাফেলাসহ গাদিরে খুমে প্রবেশের প্রাক্কালে সূরা মায়িদার ৬৭নং আয়াত অবতীর্ণ হওয়া এবং রাসূল (সা.) হযরত আলীকে (আ.) মুমিনদের নেতা ও মাওলা ঘোষণা করার পর সূরা মায়িদার ৩নং আয়াতের যে অংশে দ্বীনের পূর্ণতা ও নেয়ামতের সমাপ্তির কথা বলা হয়েছে তা অবতীর্ণ হওয়ার মধ্যে অবিচ্ছিন্ন এক সম্পর্ক রয়েছে। এ দুই আয়াতের শানে নুযুল এবং সার্বিক অর্থ থেকে হযরত আলী (আ.) এর বেলায়েতের বিষয়টি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়।
বুদ্ধিবৃত্তির মানদণ্ডে হাদিসটির পর্যালোচনা : 
وَلاَ تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنَّ ٱلسَّمْعَ وَٱلْبَصَرَ وَٱلْفُؤَادَ كُلُّ أُولـٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْؤُولاً  ‘যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই তার অনুসরণ কর না, কেননা, শ্রবণেন্দ্রিয়, দর্শনেন্দ্রিয় এবং হৃদয়- তাদের প্রত্যেকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সূরা বনি ইসরাইল: ৩৬)
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে পরাগানের হাদিস (২) লেখক: আবুল কাসেম এখন আমরা হাদিসটির সনদ এবং মাতন বা টেক্সট নিয়ে আলোচনা করব। ক. হাদিসটির সনদের পর্যালোচনা সনদের দৃষ্টিতে হাদিসটির বড় ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, হাদিসটির সনদে ইকরামা, আফফান, হাম্মাদ ইবনে সালমাহ, হিশাম ইবনে উরওয়াহ, সাম্মাক ইবনে র্হাব এবং আবদুল্লাহ ইবনে মূসা রয়েছেন এবং বিভিন্ন রিজালশাস্ত্রবিদের দৃষ্টিতে তাঁরা ত্রুটিপূর্ণ বিবেচিত হয়েছেন।
سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে খেজুর গাছের পরাগায়নের হাদিস (১) সারাংশ: অকাট্য ও মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত পবিত্র কোরআনের স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন আয়াতসমূহ, নির্ভরযোগ্য হাদিসসমূহ ও ঐতিহাসিক যুক্তির বিপরীতে এমন কোন হাদিস যা রাসূল থেকে বর্ণিত হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত তার বিষয়বস্তুর কোন মূল্য নেই। খেজুর গাছের পরাগায়নের হাদিস এমনই এক প্রত্যাখ্যানযোগ্য হাদিস।
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّـهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّـهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّـهَ كَثِيرًا
‘নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে (অনুসরণীয়) উত্তম আদর্শ রয়েছে, তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।’ (সূরা আহযাব: ২১)
মহানবী (সা.) কী নির্ভুল? সারাংশ: পবিত্র কোরআন রাসূল (সা.) এর সমগ্র জীবনকে বিশেষত তাঁর নবুওয়াতী জীবনের প্রতি মুহূর্তকে নিঃশর্তভাবে সকল যুগের জন্য ও সর্বাবস্থায় মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় আদর্শ হিসাবে উল্লেখ করেছে। (সূরা আহযাব:২১) যেহেতু তিনি এক মুহূর্তের জন্যও আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ ভিন্ন কিছু বলতেন না এবং করতেন না, সেহেতু আল্লাহ তাঁকে সকল ক্ষেত্র ও অবস্থায় আদর্শ বলে ঘোষণা করেছেন যা তার নির্ভুলতার অকাট্য এক প্রমাণ।
আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.) ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আ.)-কে উপদেশ দিয়ে বলেছেন,
كونا للظالم خصماً و للمظلوم عَوْناً
“তোমরা অত্যাচারীদের শত্রু এবং অত্যাচারিতের বন্ধু ও সাহায্যকারী হও।
অত্যাচারিতদের সাহায্য করা এবং ক্ষমা ও উদারতা সারাংশ: ইসলাম ধর্মের বক্তব্য হচ্ছে, অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করো এবং অত্যাচারিতদের সাহায্য কর। ক্ষমা ও মানুষের ছোট-খাটো দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করা এমন সব গুণের অন্তর্ভুক্ত যা এ পার্থিব জগৎ এবং আখেরাতে সফলতা ও সৌভাগ্যের জামানতদার।
পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করা সবর্জনীন এক দায়িত্ব

কেননা মানুষের মধ্যে অন্য প্রাণী থেকে ভিন্ন লজ্জা নামক যে অনন্য এক প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তা রক্ষা করে না চললে তার সাথে পশুর কোন পার্থক্য থাকবে না। এজন্য ইসলাম কেবল বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ও ব্যভিচারকে নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ন হয়নি বরং মাহরাম বলে ঘোষিত বিশেষ ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহকে হারাম বলে গণ্য করেছে (নিসা:২৩)।
সারাংশ: পরিবার হল সমাজের মানুষের বিকাশের স্থান। যে মতবাদ ও চিন্তাধারা যতটা পরিবারকে মূল্যবান জ্ঞান করে ততটা এর বন্ধনকে দৃঢ় ও শক্তিশালী করা এবং এ সামাজিক প্রতিষ্ঠানটিকে নিরাপদ ও এর সদস্যদের মনে প্রশান্তি বজায় রাখার প্রয়াস চালায়। ইসলাম মানুষের সহজাত প্রকৃতির সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল চিন্তাধারা হিসাবে পরিবারকে অপরিসীম গুরুত্ব দান করেছে এবং এর সংরক্ষণ ও প্রতিরক্ষায় উপযুক্ত ও কার্যকর নীতি ও বিধান প্রণয়ন করেছে।