প্রচ্ছদ
Explore
সারাংশ: শেইখ সাদুক (রহ.) বলেন, ‘ইমামদের ব্যাপারে অতিরঞ্জিত ধারণাপোষণকারী এবং মুফাওয়াদা (যারা বিশ্বাস করে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করে সবকিছু ইমামদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন)-দের সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস হল তারা কাফের এবং তারা হল ইহুদী, খ্রিষ্টান, অগ্নি-উপাসক, কাদরিয়া (মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী), হারুরীয়া (খারেজী) এবং সকল বিদআত সৃষ্টিকারী ও কু-প্রবৃত্তির অনুসারী পথভ্রষ্ট থেকেও নিকৃষ্ট ও অধম। তারা আল্লাহর মর্যাদাকে অনেক খাট করেছে।
সারাংশ: বনী কুরাইযাহ্ গোত্রের ইহুদীরা কিছু দিন আগে মহানবীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল যে, যদি তারা ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাওহীদী ধর্ম ও আদর্শের শত্রুদের সাহায্য করে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুদের উস্কানী দেয়, তা হলে মুসলমানরা তাদেরকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে।
যে নিজের কথা ও চিন্তা-ভাবনার ওপর নির্ভর করে (এবং অন্যের পরামর্শ ও অভিমত উপেক্ষা করে) সে আসলে নিজেকে বিপদ ও সমস্যার সাথে জড়িয়ে ফেলে; আর যে ব্যক্তি অন্যের অভিমতকে স্বাগত জানায় অর্থাৎ তা থেকে সাহায্য নেয় সে স্খলন ও ভুল-ভ্রান্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়। মহান আল্লাহ্ ভুল-ভান্তির ঊর্ধে হওয়া সত্ত্বেও স্বীয় নবী (সা.)-কে তাঁর সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হিন্দ ছিলেন আমর ইবনে হাযামের মেয়ে এবং জাবির ইবনে আবদুল্লাহ্ আনসারীর ফুফু। তিনি উহুদ প্রান্তরে যান। এই নারী তাঁর স্বামী, ভাই ও সন্তানদের লাশ উটের উপর বেঁধে মদীনা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায়ও মনে হলো তাঁর যেন কোন বিপদই হয় নি! অত্যন্ত উৎফুল্ল কণ্ঠে তিনি মদীরার নারীদের বললেন : “আমার কাছে আনন্দের খবর আছে। আল্লাহর রাসূল জীবিত আছেন। এই বিরাট নেয়ামতের মুকাবেলায় সকল দুঃখ-কষ্ট ও বিপদাপদ নগণ্য ও তুচ্ছ।”
নিঃসন্দেহে ইমাম হাসানের বিয়ে ও তালাকের ব্যাপারে যে বড় এক সংখ্যার উল্লেখ করা হয়েছে তা স্বয়ং পাঠকের মনে এ প্রশ্নের সৃষ্টি করে যে, তবে কি তালাক মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে অপছন্দনীয় বৈধ কর্ম বলে বিবেচিত নয় যা আল্লাহর আরশকে প্রকম্পিত করে। এরূপ এক অপছন্দনীয় কর্ম কিভাবে বেহেশতের যুবকদের নেতা থেকে বারবার ঘটতে পারে। তবে কী তিনি আল্লাহর আরশ প্রকম্পিত হওয়ার কোন পরওয়াই করতেন না।